কেন লোকজন ট্রেন্ডিভাবে ‘শিয়া’ হয় না?
কেন লোকজন ট্রেন্ডিভাবে ‘শিয়া’ হয় না?
-----
শিয়া হয় কারা আমরা সবাই জানি।
শিয়া হয় সূফিপন্থীদের মধ্যে পাগল+অবুঝ যারা, তাদের একাংশ। তো কথা হল, সূফিপন্থীদের কখনো পাগল+অবুঝ হওয়া যাবে না। পাগল হলেও বাঁচা যায়, অবুঝ হলেও বাঁচা যায়। যে পাগল বোঝেও না, তার তো আর পথ রইল না।
সে সূফিপন্থী থাকলে সূফিপন্থার বিপদ, শিয়া হলে তো ভালই, শিয়াদের বিপদ। :)
কারণ, বেবোধ উন্মাদ সব সময়েই নিজের জন্যও ক্ষতিকর, নিজের মতাদর্শের জন্যও ক্ষতিকর, নিজের চারপাশেরও জন্যও ক্ষতিকর।
তাও তারা খাঁটি শিয়া হতে পারে না, গোলাপি শিয়া হয়। তাদের শিয়ারাও বাঁকা চোখে দেখে, সুন্নিরা তো গ্রহণই করে না। এইটা তারা জানেও না, বোঝেও না, কারণ ওইটাই, বেবোধ মাস্তানা।
এরা এমন চিজ, এদের কাছে সিদ্দিকে আকবর ফারুকে আযম সহ ৯৯% সাহাবির অসম্মান গায় লাগে না। আর শিয়ারা তাদের দেখে হাসে, কারণ শিয়ারা যে গাউসে পাক জিলানী, খাজা মুঈন, রুমী সহ সব যুগের সব সূফিকে... এটা এই গান্ডুরা বোঝে না।
বেবোধ সূফিপন্থী ছাড়া শিয়া হওয়া প্রায় অসম্ভব।
হুঁশমন্দ সূফিপন্থীরা কখনো শিয়া হবে না, ইনডকট্রিনেশন হয়েছে এমন তরিকতপন্থীরা কখনো শিয়া হবে না, সাধারণ মুসলিমরা কখনো শিয়া হবে না, অপরাপর মতাদর্শ যেমন দেওবন্দি-জামায়াতি-সালাফিরা কখনো শিয়া হবে না।
এর কারণ মাত্র একটা:
কোনও মুসলিম এটা টলারেট করতে পারবে না, যে, আমাদের সাইয়্যিদ আবু বকর আস্ সিদ্দিক রা. ও আমাদের ধর্মগ্রন্থ বোখারি মুসলিমকে তারা সম্পূর্ণ ডিনাই করে।
আম্মা আয়িশা, উমার, উসমান রা. সহ ৯৯% সাহাবিদের যারা:
হয় কাফির বলে,
নয় মুনাফিক বলে,
নয় মুরতাদ বলে,
নয় ভ্রষ্ট বলে,
নয় অসৎ বলে-
তাদেরকে মুসলিম উম্মাহ্ কখনোই গোণায় ধরেনি এবং কখনোই গোণায় ধরবে না।
মানুষ শিয়া হবে না, শিয়া হওয়ার ট্রেন্ড কখনো জারি হবে না, তার কারণ খোদ শিয়াদের বিশ্বাস। এই বিশ্বাস এতই অবিশ্বাস্য যে, পাগল+ছাগল ছাড়া কেউ কোন যুগে শিয়া হবে না।
তাহলে আমরা দেখতে পেলাম, ট্রেন্ডি কিন্তু চিন্তাশীল আত্মবিশ্বাসী মানুষ কেন সালাফি হচ্ছে না এবং শিয়া হচ্ছে না। চলছে গাড়ি চলবে...
No comments