Header Ads

ad728
  • Breaking News

    যাকাত সংক্রান্ত মাসায়েল

    যাকাত

    ১) কোন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থমস্তিষ্কসম্পন্ন নর-নারীর কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঋণ মুক্ত সাড়ে ৫২ তোলা রুপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা তার সমমূল্যের ব্যবসায়ী সম্পদ বা টাকা পয়সা থাকবে সে নেসাব পরিমান মালের মালিক হিসেবে গণ্য হবে। (ফাতওয়ায়ে আলমগীরী)

    ২) সম্পদের ৪০ ভাগের একভাগ যাকাত হিসেবে দিতে হবে। অর্থাৎ- শতকরা ২.৫০ টাকা যাকাত দিতে হবে। (হেদায়া)

    ৩) যদি কারো নিকট কিছু সোনা থাকে এবং তার সাথে কিছু রুপা বা কিছু টাকা-পয়সা বা কিছু ব্যবসায়িক পণ্য থাকে তাহলে এ ক্ষেত্রে সোনার সাড়ে সাত তোলা বা রুপার সাড়ে বায়ান্ন তোলা দেখা হবে না বরং সোনা, রুপা এবং টাকা-পয়সা ও ব্যবসায়িক পণ্য যা কিছু আছে সবটা মিলে যদি সাড়ে সাত তোলা সোনা বা সাড়ে বায়ান্না তোলা রুপার যে কোন একটার মূলের সমপরিামণ হয়ে যায়, তাহলে (বৎসরান্তে) তার উপর যাকাত ফরয হবে। ( ফাতওয়ায়ে আলমগীরী)

    ৪) স্বর্ণ-রুপা নিজের মালিকানায় থাকলেই তার যাকাত দিতে হবে। চাই তা অলংকার হিসেবে ব্যবহার হোক বা না হোক। (ফাতওয়ায়ে আলমগীরী)

    ৫) আপন ভাই-বোনকে (গরিব হলে) যাকাতের টাকা দেয়া যাবে। বরং দেয়াটাই উত্তম। ( ফাতওয়ায়ে শামী)

    ৬) যাকাত দাতার মা, বাবা, দাদা, দাদী, পরদাদা, পরদাদী, পরনানা, পরনানী ইত্যাদি উপরের সিঁড়ির পুরুষদেরকে যাকাত দেয়া যাবে না। (ফাতওয়ায়ে আলমগীরী)

    ৭) যাকাত দাতার স্বামী বা স্ত্রী একে অপরকে যাকাতের টাকা দিতে পারবে না। ( রদ্দুল মুহতার)

    ৮) মসজিদ, মাদরাসা বা স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল প্রভৃতি নির্মাণ কাজের জন্য যাকাতের টাকা দেয়া যাবে না। (রদ্দুল মুহতার)

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728